পৃথিবীতে মানুষের তৈরি কিছু বিশাল বিশাল অবকাঠামো আছে যা কোন কারন ছাড়াই পরিত্যাক্ত। কেউ কেউ এগুলুকে হান্টেড স্থান ও বলে। কোন অস্বাভাবিক কারণে পশুপাখিও এই স্থান গুলো এড়িয়ে চলে। আসুন দেখি-
১. ফার্মহাউজ, সেনেকা লেক (নিউ ইয়র্ক):
কালের অতলে জরাগ্রস্থ হয়ে যাওয়া এ খামার বাড়িটি বর্তমানে ব্যবহৃত হয় প্রাচীন গাড়ীগুলোর সমাধিস্থল হিসেবে। নিউ ইয়র্কের পুরনো এন্টীক সব যানবাহন গুলো ওখানে এনে রাখা হয়।
২. রিউজং হোটেল, পিয়ংইয়াং (উত্তর কোরিয়া):
রিউজং হোটেলটিকে উত্তর কোরিয়ার পাগলামোর অন্যতম নিদর্শন বলা হয়ে থাকে । হোটেলটির কাজ ১৯৯২ সালে শুরু হয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া ভয়ানক দূর্ভিক্ষে আক্রান্ত হয় যার জন্য হোটেলটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।এর প্রায় ১৬ বছর পর, ২০০৮ সালে এর পুনঃনির্মাণ শুরু হয়।প্রায় ১৫০মিলিয়ন ডলার খরচ করে এর বাইরের অংশটিকে নীল কাঁচ দিয়ে আচ্ছাদিত করে দৃষ্টিনন্দিত করা হয়। কিন্তু কোন এক অদ্ভুত কারনে স্থাপনাটির কাজ এখনো শেষ হয় নি।
৩. উইলার্ড অ্যাসাইলাম (নিউ ইয়র্ক):
মানসিক ভারসম্যহীনদের সেবা প্রদানের জন্য ১৮৬৯ সালে এ আশ্রয়স্থলটি তৈরি করা হয়েছিল এবং এতে একসাথে ৪,০০০ জন থাকার ব্যবস্থা ছিল।এর ব্যপ্তিকালে প্রায় ৫০,০০০ জন রোগী এতে ভর্তি হয়েছিলেন যাদের প্রায় অর্ধেকই এর চার দেয়ালের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯৫ সালে পাগলাগারদটি অদ্ভুত কোন এক কারনে বন্ধ হয়ে যায়। বলা হয় হাসপাতালের রোগীরা হঠাৎ করে সব ডাক্তারদের হত্যা করে ফেলে তাই এটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
৪. সিক্স ফ্ল্যাগস আইল্যান্ড, নিউ অর্লিন্স (লুইসিয়ানা):
হারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতে পর্যদুস্ত হওয়ার পর থেকে এ বিনোদন উদ্দ্যানটি পরিত্যক্ত।কোনভাবে টিকে থাকা কিছু রাইড এর পূর্ব প্রাণোচ্ছলতার সাক্ষ্য বহন করে আছে। এ পার্কটি এখন ভূতুড়ে মুভির সেট এর মতোই হয়ে গেছে।
৫. গালিভার’স ট্র্যাভেলস পার্ক, কাওয়াগুচি (জাপান):
ফুজি পর্বতের ধারে অবস্থিত এ উদ্যানটির উদ্বোধন করা হয় ১৯৯৭ সালে।জাপান সরকারে আর্থিক সহায়তা থাকার পরও কর্তৃপক্ষ এটিকে কেবল মাত্র ১০ বছর পর্যন্ত চালাতে পারে ।এরপর ধীরে ধীরে এটি নস্ট হয়ে পড়ে।
৬. ডিজনি ডিসকভারি আইল্যান্ড, লেক বুয়েনা ভিস্তা (ফ্লোরিডা):
ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মধ্যস্থলে অবস্থিত বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল।ক্ষতিকারক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া যেগুলোর আঘাতে মানুষ মারা পড়ে – এ ধরণের একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ায় চমৎকার স্থানটি ধীরে ধীরে জনমানবশুন্য হয়ে যায়।
৭. অ্যানিভা রক লাইটহাউজ, স্যাখালিন্সকায়া ওব্লাস্ট (রাশিয়া):
রাশিয়ার পূর্ব উপকূল ও জাপানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত সাগরতীরবর্তী দ্বীপের মতো এ বিচ্ছিন্ন জায়গাটিতে আসামিদের শাস্তিস্বরুপ এনে রাখা হতো।একসময় রাশিয়া ও জাপান দুটি দেশই জায়গাটি দখল করার জন্য এক প্রকার যুদ্ধে লিপ্ত হয়।পরবর্তীতে রাশিয়ার দখলে আসলেও ধীরে ধীরে এটি মানুষ শূন্য হয়ে পড়ে।
Post a Comment
0 comments
Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.